ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অর্থায়নে Local Government Covid-19 Response And Recovery Project (LGCRRP) এর আওতায় বিরামপুর পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে। এর মধ্যে ইসলামপাড়ায় লিলি মঞ্জিল থেকে দক্ষিণে ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৪ লক্ষাধিক টাকা।
কাজের শর্ত অনুযায়ী এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে পৌরসভার প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সরাসরি তত্ত্বাবধান থাকার কথা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার প্রকল্পস্থলে কাজ চলাকালে কোনো প্রকৌশলী বা ঠিকাদারকে দেখা যায়নি। বরং পৌরসভার একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজের তদারকি করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এক বস্তা সিমেন্টের সঙ্গে ৬ করায় বালু ও ৬ করায় পাথর মিশিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। এতে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পরে পৌরসভার কার্য সহকারী জামানের উপস্থিতিতে ঢালাই সম্পন্ন হয়।
সচেতন নাগরিকরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি অর্থে বাস্তবায়িত প্রকল্পে যদি এভাবে কাজ হয় তবে জনগণের ক্ষতি অনিবার্য। তারা অবিলম্বে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে মোবাইলে বিরামপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শরিফুল ইসলাম ডাকুয়া সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
এই প্রতিবেদকের সাথে সৌজন্য বিনিময়ের পর তার অবস্থান জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—স্যার বলেন, স্যার। আমাকে ভাই বলে ডাকতে পারবেন না। পৌরসভার এক্স-ইএনকে স্যার বলতেই হবে।
এই বক্তব্যে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন— জনগণের টাকায় বেতনভুক্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা কেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ করবেন? অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকরা কেন প্রকৌশলীকে স্যার ডাকবেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে চেষ্টা করা হলেও পৌরসভার কোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সচেতন মহলের অভিমত, প্রায় অর্ধকোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ ও নির্বাহী প্রকৌশলীর উক্তি প্রশাসনিক জবাবদিহিতার জন্য উদ্বেগজনক। তাই দ্রুত তদন্ত করে সত্য উদঘাটন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
মতামত