দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সবজি চাষিরা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ ও ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাননগর গ্রামে প্রথমবারের মতো আগাম ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন এই এলাকার চাষিরা।
বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সবজি চাষ করে থাকেন তারা। এ বছর তারা নতুন জাতের রত্ন, আর্লি স্পেশাল ও সার্মার হোয়াইট ফুলকপি চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে আশানুরুপ। এবছর ৮৫ হেক্টর জমিতে নতুন জাতের ফুলকপি চাষ করে পেয়েছেন তারা সফলতা। কৃষক মো.ফরিদ জানান, ইউটিউব দেখে নতুন জাতের ফুলকপি ভিডিও দেখে তা চাষের প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
এ জন্য তিনি বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা নিয়ে রত্ন, আর্লি স্পেশাল ও সার্মার হোয়াইট জাতের ফুল কপির বীজ গ্রহন করে চাষ করে। ক্ষেতে কোনো প্রকার কীটনাশক ও সার প্রয়োগ না করে কেবল জৈব সার ব্যবহার করেছেন তিনি। চারা রোপণ করেছেন। ৭০-৭৫ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসা শুরু করে। বর্তমানে তিনি এসব কপি বিক্রি করতে শুরু করছেন।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা শস্যভাণ্ডার বলা হয়ে থাকে। এই উপজেলায় অধিকাংশ শস্যই উৎপাদিত হয়। এ বছর উপজেলায় কৃষকেরা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকেরা মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতের শীতকালীন সবজি বাজারজাত করে অধিক লাভের আশা করছেন। তিনি আরও বলেন,
আগাম জাতের ফুলকপি স্বাদেও ভালো। সাধারণ ফুলকপির তুলনায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বীরগঞ্জ উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি,আবাদ করা হয়েছে। প্রদর্শনী কৃষককে প্রদান করা হয়েছে। ফুলকপির আবাদ সম্প্রসারিত হলে কৃষকরা নিঃসন্দেহে লাভবান হবেন। আগামী বছর অনেকে আগাম জাতের ফুল কপি চাষ করবেন বলে তিনি জানান। প্রতিনিয়ত পরিদর্শনে আসেন দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন।
মতামত