শিক্ষাঙ্গন

তফিউদ্দীন মেমোরিয়াল হাই স্কুলে বর্ষা উৎসব ও জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রিন্ট
তফিউদ্দীন মেমোরিয়াল হাই স্কুলে বর্ষা উৎসব ও জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি : তফিউদ্দীন মেমোরিয়াল হাই স্কুলে বর্ষা উৎসব ও জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যা ৭:১০ আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সন্ধ্যা ৮:০৯

দিনাজপুরের উপশহরে তফিউদ্দীন মেমোরিয়াল হাই স্কুলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষা উৎসব উদযাপন, জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 সকাল ১১ টায় স্কুল ভবনে আনন্দঘন পরিবেশে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবমুখর আবহ সৃষ্টি করে এবং শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃজনশীলতায় নতুন অনুপ্রেরণা যোগায়।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক, সদ্য সাবেক সভাপতি সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহ. সাদ্দাম হোসেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছা. শাকেরিনা বেগম, সদর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নির্মল কুমার রায়, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মোত্তালেব, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুজ্জামান, সিনিয়র শিক্ষক মো. মুনিরুজ্জামান ও অভিভাবক সদস্য মো. আব্দুল আজিজ।

সহকারী শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেনের পরিচালণায় জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতায় ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির মোট ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি শ্রেণি থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান নির্ধারণ করা হয়। 

প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক সৈয়দা নিগার পারভীন, সহকারী শিক্ষক তাহাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম। হারমোনিয়ামে আবহ সংগীত দেন স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও সংগীতশিল্পী সায়মী বর্মণ পুন্নী।

৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ১ম সিয়াম, ২য় ফারিক, ৩য় জান্নাতুন। ৭ম শ্রেণিতে ১ম খুশি, ২য় মেহেরিনা, ৩য় আফরিন। ৮ম শ্রেণিতে ১ম লামিয়া, ২য় রাহিলা, ৩য় প্রীতি। ৯ম শ্রেণিতে ১ম সুরভি, ২য় রাফিদ, ৩য় রনি। 

এরপর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। 

এছাড়া অনুষ্ঠানকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা ফলমূল, ফুল ও ফুচকার স্টল বসায়। পরে অতিথিরা এসব স্টল ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।এছাড়া শিক্ষার্থীদের আরো বেশি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন এবং সফল আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুজ্জামান জানান, স্কুলে এ ধরনের আয়োজন এটি প্রথম। শিক্ষার্থীদের মনের ভয় দূর করতে এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, দেশপ্রেম ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য। জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং দলগতভাবে কাজ করতে শেখাবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করা হবে।

বর্ষা উৎসব উদযাপন, জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।