দিনাজপুর

দিনাজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ জন জেল হাজতে

প্রিন্ট
দিনাজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ জন জেল হাজতে

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ১১:৫৯



বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় দিনাজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলেসহ ১০ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।


বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবীর তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। 

দিনাজপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আসামিরা হলেন- জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, তার ছেলে মো. নিশান, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন মণ্ডল, নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক, আজিজুল হক, জামিনুর রহমান, মোমিনুল ইসলাম, আজিজার রহমান এবং সাজেদুর রহমান সবুজ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার তপনঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগ অফিসে গোপন মিটিং হয়। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশি ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী মিছিলে সাবেক এমপি শিবলী সাদিক ও তার চাচা দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে ককটেল, ধারালো হাঁসুয়া, লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়।

এই ঘটনায় চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ উপজেলার তপনঘাট গ্রামের বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নজরুল ইসলাম (৪০) বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গত ১৮ মে আসামিরা উচ্চ আদালতে (হাইকোর্টে) জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। পরে তারা দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে ৫ হাজার টাকার বন্ডে গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় ৮ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করা হয়। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ৮ সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ দিনে আসামিরা পুনরায় জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।