স্ত্রী, ছেলে, ছোট মেয়ে ও বড় মেয়ে কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ করে এবং ভাইকে হত্যার সুবিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বড় ভাই।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন দিনাজপুর সদর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা মুরারীপুর গ্রামের মৃত: সিরাজ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহসিন আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুলাই আমার ছোট ভাই ইয়াকুব আলীর মৃত্যু হয়। মরদেহ দাফন হওয়ার পর ইয়াকুব আলীকে যারা গোসল করিয়েছিলেন তারা বলেন ইয়াকুব আলীর শরীর অসংখ্য আঘাত ও জখমের চিহ্ন, বুকের দুই পাশে কালচে দাগ, পিঠের মধ্যে অসংখ্য জখমের চিহ্ন ও দাগ, ডান পা ও বাম পায়ের চামড়ুা ছুলে যাওয়া ও ধারালো চাকু দিয়ে ডান পায়ে বড় ধরনের গর্ত এবং রক্ত পড়ে যাচ্ছিলো। গলায় বাম পাশে চারটি চালচে রকম দাগের চিহ্ন।
এসব ভয়ংকর কথা শুনে আমিসহ আমার বোনের ছেলেরা ও আমার দুই চাচা, চাচাতো ভাইি মিলে মৃত ইয়াকুব আলীর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে কথাগুলো শুনলে তারা ইয়াকুব আলীকে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত, জখম ও রক্ত ঝরার মধ্য দিয়ে হত্যা করেন। এসব কথা ভিকটিম ইয়াকুব আলীর স্ত্রী মোছা: সেলিনা আক্তার (৪২), ছেলে সারাফাত হোসেন শিশির (২০), ছোট মেয়ে মোছা: ইয়ানুর আক্তার ইসতি (২২) এবং বড় মেয়ে মোছা: ইয়ামিন আক্তার ইভু (২৪) নিজেই স্বীকার করেন। আমরা এসব কথা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অডিও ভিডিও করে রেখে দিই। পরে ভিকটিমের বড় বোন মোছা: খুরশিদা বেগম দিনাজপুর জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (মামলাটির সিআর নং-১৭৯৬/২৫)।
বিভিন্ন কারনে আমার ভাই ভিকটিম ইয়াকুব আলীর সাথে প্রায়শই বিভিন্ন কলহ বিবাদ হতো ও ভিকটিম ইয়াকুব আলীকে মারধোর করতো। স্বাক্ষীদের মতে ও হত্যাকারীর স্বীকারোক্তিতে এটা সুস্পষ্ট যে ভিকটিম ইয়াকুব আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিমের বড় বোন খুরশিদা বানু, ইমরান আলী, ফরমান আলী, আশরাফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
মতামত