ছবি : তেঁতুলিয়ায় সরকারি চাল জব্দ গুদাম সিলগালা আটক ১।
তেঁতুলিয়া সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রকল্পের ৩১ লক্ষ সাড়ে ৬২ হাজার টাকার সরকারি চাল ব্যবসায়ীর গোডাউন থেকে জব্দ করেছে প্রশাসন। সেই সাথে গুদাম সিলগালাসহ সাদেকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। অপর ব্যবসায়ী পলাতক।
গত শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু'র নেতৃত্বে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক রুবেল আলম ও থানা পুলিশের একটি টিম পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে সরকারি সিলমোহর যুক্ত কয়েক শতাধিক বস্তা চাল, সরকারি সিলমোহর যুক্ত খালি বস্তা, মোড়ক পরিবর্তনের সরঞ্জামাদি এবং বস্তা সেলাই মেশিন জব্দ করা হয়।
প্রথম অভিযান করেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিজনগর এলাকার ফিরোজা বেগমের চাতাল ও গুদামঘর আপর অভিযান চৌরাস্তা বাজারের মেসার্স সহিদুল রাইস এজেন্সির গুদামে। এসময় সরকারি প্রকল্পের শতাধিক বস্তা চাল, খালি বস্তা ও চালের মোড়ক জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলায় বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের চাল ও গম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দু'একজন কর্মচারি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে কম দামে ক্রয় করে ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে থাকেন।
তবে অজ্ঞাত কারণে জব্দের একদিন পর তেঁতুলিয়া মডেল থানায় উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক রুবেল আলম বাদী হয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গুদামের ম্যানেজার মো. সাদেকুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মালিক সহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প সভাপতিগণ সরকারি বরাদ্দের চাল পেয়ে আমাদের নিকট বৈধভাবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতেন। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে সংশ্লিষ্টরা চাল বিক্রি করে থাকেন এবং তিনিও বৈধভাবে কাগজপত্র দেখে ক্রয় করেন। আমাদের লাইসেন্স রয়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক রুবেল আলম বলেন, পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে সরকারী চালসহ একজনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি ও গুদামের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুসা মিয়া জানান, এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, অভিযানে সরকারি চালের বস্তা সহ বিপুল পরিমাণ খালি বস্তা ও মোড়ক পরিবর্তনের আলামত পাওয়া গেছে। গুদাম মালিক বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় গুদামগুলো সিলগালা করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মতামত