ঘোড়াঘাট

গোপনে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, জাল সনদে সভাপতি

প্রিন্ট
গোপনে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, জাল সনদে সভাপতি

প্রকাশিত : ২ জুন ২০২৫, সকাল ১১:০৪


দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দামোদরপুর শৌলা দাখিল মাদ্রাসার গোপনে ম্যানেজিং কমিটি ও জাল সনদে সভাপতি নির্বাচিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মুশফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। নিয়ম বহির্ভূত  কমিটি গঠন করায় ক্ষুদ্ধ অভিভাব ও এলাকাবাসী।  অভিভাবক সদস্যরা জানেনা তারা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটি অনুমোদনের পর প্রথম মিটিংয়ে জানতে পারেন তারা কমিটির সদস্য। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওকে ও মাদ্রাসা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

জানা গেছে, উপজেলার দামোদরপুর শৌলা দাখিল মাদ্রসার এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিয়মিত কমিটি গঠনের করতে চলতি বছরের ১০ ফেব্রয়ারী নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করেন ঘোড়াঘাট উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ধ্বীরাজ সরকার। তফসিলে ২ হাজার ৫শ’ টাকায় সভাপতি, দাতা সদস্য, অভিভাবক সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি ও সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষকের কাছ থেকে মনোনয়ন আহ্বায়ন করা হয়। ৯ মার্চ চুড়ান্ত প্রাথী তালিকা প্রকাশ ও ২০ মার্চ নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু তা কগজে কলমে। নোটিশ বোর্ডে ঝুলানো হয়নি নির্বাচনি তফসিল। অভিভাবক সদস্য মনোনয়নের লক্ষে শিক্ষার্থীদের নোটিশ দেয়া হয়নি। পছন্দের ব্যাক্তিকে গোপনে সভাপতি নির্বাচিত করতে বিএস পরীক্ষায় অংশগ্রণ না করা ব্যাক্তিকে জাল সনদে গোপনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত করেন।  

অভিভাবক সদস্য সাখাওয়াত হোসেন জানান, তার দুই জমজ মেয়ে ওই মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। প্রায় এক মাসে পূর্বে প্রধান শিক্ষক মোবাইলে মাদ্রাসায় ডাকেন। এরপর মাদ্রাসায় গেলে প্রধান শিক্ষক অভিভাবক প্রতিনিধি হয়েছি জানিয়ে রেজুলেশনের স্বাক্ষর করতে বলেন। তিনি জানান, অভিভাবক সদস্য হওয়ার জন্য ফরম উঠাইনি। কিংবা কোনদিন সদস্য হওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলিনি। কিভাবে সদস্য হয়েছি আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষক ভালো জানে।

প্রধান শিক্ষক মুশফিকুর রহমান জানান, নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সময় মাদ্রাসা রমজানের ছুটি থাকায় হয়তো অনেকে জানেননা।

বিএ পাস সনদ জাল দিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ  মিথ্যা দাবি করে সভাপতি শাজাহান সিরাজ জানান, কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ও প্রিজাইডিং অফিসার ধ্বীরাজ সরকার জানান, নিয়ম নেমে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। এলাকায় প্রচার করা হয়েছে কি-না তা প্রধান শিক্ষক জানে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিভাবক ও এলাকাবাসী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এখনো তদন্ত শুরু করা হয়নি। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তদন্ত শুরু করা হবে। কোন অনিয়ম দেখা গেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।